রূপগঞ্জে সেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য সংগ্রহ ও কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করেছে। তিন দফা সময় পেছানোর পর শনিবারের কাঙ্খিত এই সম্মেলনে এক পক্ষকে ঢুকতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পৃথক দুটি বলয়ের মাঝে এ উত্তেজনা তৈরী হয়।
এ নিয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ। ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় নেতারাও। পুলিশ সভাস্থল থেকে বিপুল পরিমান লাঠিসোটা উদ্ধার করে।
জানা গেছে, দলটির সদস্য সংগ্রহ ও কর্মীসভাকে কেন্দ্র করে মন্ত্রী ও চেয়ারম্যান বলয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে দাউদপুর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগ। এরমধ্যে মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী ( বীর প্রতিক) এর পক্ষে দাউদপুরে নেতৃত্ব রয়েছে বর্তমান কমিটির সভাপতি তৈয়ুবুর রহমান মামুন ও সাধারন সম্পাদক পদে আক্তারুজ্জামান।
অপরদিকে দাউদপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জাহাঙ্গীরের বলয়ে সভাপতি পদে শামসুল আলম ও সাধারন সম্পাদক পদে হারুনুর রশিদ বিপ্লব প্রার্থী হয়।
অনুষ্ঠান শুরু হলে সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি তৈয়ুবুর রহমান মামুন ও সাধারন সম্পাদক পদে আক্তারুজ্জামানেরর লোকজন তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী নেতা ও সমর্থকদের সম্মেলনে প্রবেশ করতে বাধা প্রদান করে। এতে করে উভয় পক্ষের লোকজন উত্তেজিত হয়ে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করে। পরে চেয়ারম্যান ও পুলিশের অনুরোধে নুরুল ইসলামের অনুসারীরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ স্থানীয় মেরিন মাঠে অবস্থান নেন। পরে কেন্দ্রীয় নেতারা অনুষ্ঠান শেষ করে তাদের দাবি ধাওয়াও শোনেন।
এদিকে কর্মী সম্মলনে বর্তমান ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্তি ঘোষনা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় সেচ্ছাসেবকলীগের সহ সভাপতি আব্দুল আলীম ব্যাপারী। এসময় তিনি সভায় প্রতিপক্ষকে প্রবেশ করতে বাধা দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। উভয়পক্ষের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক প্রার্থীদের আবেদনসহ জীবন বৃত্তান্ত তাদের কাছে দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
Discussion about this post