নারায়ণগঞ্জ নগরীকে দূষণমুক্ত রাখতে বন্দরে ৩০১ কোটি ৩৫ লাখ ২১ হাজার টাকা ব্যয়ে স্যানিটারি ল্যান্ডফিল নির্মাণ করছে সিটি কর্পোরেশন।
প্রকল্প বাস্তবায়নে ২৫নং ওয়ার্ডের ধামগড় ও লক্ষণখোলা মৌজায় ৬৯ দশমিক ৮৭ একর জমি অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর একনেক সভায় শতভাগ সরকারি ব্যয়ে বাস্তবায়নের জন্য ল্যান্ডফিল নির্মাণ প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।
এদিকে জমি অধিগ্রহণের খবরে বেশি দাম পাওয়ার আশায় ওই এলাকার নিচু জমি ও বিল ভরাট করে ঘরবাড়ি ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণের হিড়িক পড়েছে।
এ ছাড়াও এমন অধিগ্রহণের খবরে পূর্ব থেকেই জেনে জমির মূল মালিকদের ঘটনা আড়াল করে জমি কেনা বেচারও প্রক্রিয়া করেছে স্বার্থান্বেষী একটি প্রভাবশালী চক্র । বিগত সময়েও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সিদ্ধিরগঞ্জে এলাকায় জমি অধিগ্রহণের পূর্বেই ওই চিহ্নিত ঠিকাদার চক্রটি বিশাল বাণিজ্যে মেতে উঠে । হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। টি বয় থেকে রাতারাতি ওই চক্রটি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন কে ব্যবহার করে আংগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন ।
সেই পুরানো কায়দায় জমি অধিগ্রহণের অর্থ হাতিয়ে নিতে ওই পুরানো চক্র এবারো একই কায়দায় তৎপর রয়েছে।
এম জমি নিয়ে কেলেংকারী ছাড়াও এবার অধিগ্রহণের বিশাল অর্থ হাতিয়ে নিতে জমির উপর রাতারাতি ঘর নির্মাণ করে আলকাতরা ও কালো রং মেখে পুরনো বানানোর চেষ্টা করছেন অনেকেই।
নাল জমিকে বসতভিটা বানাতে সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে দৌড়ঝাঁপও করছেন কেউ কেউ।
মন্ত্রণালয়ের কর্মচারী পরিচয়ে জমির ভালো দাম পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা চলছে বলে এলাকাবাসী জানান।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, সরেজমিন যাচাই ও ভিডিওকরণ আগেই সম্পন্ন হয়েছে। এখন নতুন করে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে কোনো লাভ হবে না। যে জমি নাল হিসেবে গণ্য হয়েছে সেগুলো বসতভিটার মূল্য পাবে না।
Discussion about this post