আজ সব খুনি ঐক্যবদ্ধ। আমরা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ষড়যন্ত্রের ঘ্রাণ পাচ্ছি। সেই ষড়যন্ত্র মোকাবিলার জন্য শেখ হাসিনার নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি । জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি ও মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তিরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন ।
নারায়নগঞ্জ মহানগরীর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে বর্ধিত সভার।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান দিপু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদলসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিতিতে চলামান এই সভায় নেতৃবৃন্দ তাদের মতামত ব্যক্ত করে বক্তব্য প্রদান করেছেন।
মির্জা আজম বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে তারা প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। শেখ হাসিনা বলেছেন তার এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের চেতনা আসছে না। আমাদের চেতনা জাগ্রত করতে হবে। বাংলাদেশে আগামী যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। আমাদের জাগ্রত হতে হবে। মানুষের কাছে ভোট চাইতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর শেখ হাসিনা দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন বলেই বাংলাদেশ পাকিস্তানে রূপ নেয়নি। শেখ হাসিনার জন্ম না হলে, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে পারতো না। শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। আশা করি, নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে মানুষের মধ্যে হতাশা কেটে যাবে।
এ সময় মির্জা আজম বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে বলেন, এই বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করেছিলেন। গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব দিয়ে জামায়াতে ইসলামীর মতো একটি দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিল। হাজার হাজার মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারকে হত্যা করেছিল। মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো সম্মান ছিল না। শেখ হাসিনা যদি দেশে প্রত্যাবর্তন না করতেন এতদিনে এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানিয়ে ছাড়তো তারা। শেখ হাসিনা এসেছিলেন বলেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিনিয়ত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post