বন্দরের নানা অপরাধের হোতা ভুমিদস্যু, অটোসহ পরিবহণ সন্ত্রাসী, পুলিশের অস্ত্র ছিনতাই, খুন, জেনারেটর ব্যবসার অন্তরালে পুরো বন্দর ঘাট এলাকয় প্রতিদিন লাখ টাকা চাঁদা আদায়কারী, আমিন ও রূপালী আবাসিক এলাকায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, অবৈধ গ্যাস সংযোগ, বিশাল মোবাইল চোর সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণসহ অসংখ্য মামলা আসামী খান মাসুদ এখন নিজেকে ‘জনদরদী’ বলে প্রচার চালায় ।
একই সাথে খান মাসুদের নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাসী মাসুম ওরফে মেতরা মাসুম, বিশেষ পেশার নামধারী ডালিম পুরো বন্দর ও শহরের নদীর পাড়ের বিশাল মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। একই সাথে খেয়াঘটের যাত্রী চাউনিসহ পুরো এলাকা দখলের পর অস্থাযী ভিত্তিতে দোকান করে নিম্নে ১০ হাজার আর উর্ধ ২০ হাজার টাকা অগ্রিম নিয়ে দখলের পাশাপাশি চাঁদাবাজির রাম রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছে বছরের পর বছর যাবৎ। বন্দর খেয়াঘাটে ঠিকাদার ও আওয়ামী লীগ নেতা সুফিযানের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী খান মাসুদের চাচাতো ভাই হিমেলে খানের নামে সিএনজি স্ট্যান্ড সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে পুরো এলাকায় সন্ত্রাসের জনপথে পরিণত করেছে।
একদিকে হিমেল খানকে দিয়ে আওয়ামীলীগের এক পক্ষ অর্থাৎ মেয়র আইভী ও ঠিকাদার সুফিয়ানের নাম ব্যবহার করে অটো রিক্সাসহ সকল পরিবহণ থেকে চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজি । অপরদিকে ওসমান পরিবারে নাম ব্যবহার করে ভূমি দখল, গ্যাস ও বিদ্যুৎ চুরির মহোৎসব চালিয়ে কুখ্যাত সন্ত্রাসী খান মাসুদ নিজেকে বন্দরের অধিপতি মনে করে যা ইচ্ছে তা করে ই যাচ্ছে অভিরামভাবে। এই খান মাসুদ কারাগারে বন্দি থেকেই তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটিয়ে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের চেষ্টা করেছে বলেও অভিযোগ রযেছে । পুলিশের এই তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী খান মাসুদকে এখন পুলিশ ই তোয়াজ করে বলে গুঞ্জন রযেছে ।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি :
বন্দরে সুতা ব্যবসায়ী কাছে দাবিকৃত ১ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে ক্ষতি সাধনের ঘটনায় ৩ চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে মাসুদ ও সাদ্দাম নামে আরো ২ চাঁদাবাজ।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত ভোররাত পৌনে ৪টায় বন্দর থানার রুপালী আবাসিক এলাকা থেকে ওই তিন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত চাঁদাবাজরা হলো বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের সালেহনগর এলাকার আনোয়ার আলী মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দিন (৪৫) একই এলাকার আজহারুল মিয়ার ছেলে খান মাসুদের সহযোগী যুবলীগ নেতা মিরাজুল ইসলাম জয় (২৭) ও একই এলাকার মৃত নাজমুল হাসান মিয়ার ছেলে ইমরান হাসান রুবেল (৪২)। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী সুতা ব্যবসায়ীহাজী আব্দুল খালেক মিয়া বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃত ৩ চাঁদবাজসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ্য করে এবং ৪/৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করেন তিনি।
যার মামলা নং- ৩৫(৯)২২। পুলিশ গ্রেপ্তারকৃত ৩ চাঁদাবাজকে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, সুদূর মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার হাজী শুক্কুর বেপারী ছেলে সুতা ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল খালেক মিয়া র্দীঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ শহরে সুতার ব্যবসা করে আসছে। এ সুবাদে সুতা ব্যবসায়ী হাজী আব্দুল খালেক মিয়া রুপালী আবাসিক এলাকায় এসে বাড়ি তৈরী করে স্বপরিবার নিয়ে উল্লেখিত এলাকায় বসবাস করতে থাকে। এদিকে সালেহনগর এলাকার আনোয়ার আলী মিয়ার ছেলে বহু অপকর্মের হোতা নিজাম উদ্দিন একই এলাকার আজহারুল ইসলামের ছেলে সন্ত্রাসী মিরাজুল ইসলাম জয় ও একই এলাকার নাজমুল হাসান মিয়ার ছেলে চাঁদাবাজ ইমরান হোসেন জয়সহ উল্রেীখত চাঁদাবাজরা র্দীঘ দিন ধরে সুতা ব্যবসায়ী নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৪টায় চাঁদাবাজ ও নানা অপরাধের হোতারা ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে সুতা ব্যবসায়ী বাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা চালায়।
ওই সময় হামলাকারীরা ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে জানালার গ্লাস ভাংচুর করে ১০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। সংবাদ পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে চাঁদাবাজ নিজাম উদ্দিন, মিরাজুল ইসলাম জয় ও ইমরান হোসেন রুবেল নামে তিন চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কৌশলে পালিয়ে গেছে মাসুদ ও সাদ্দাম নামে আরো ২ চাঁদাবাজ ।
Discussion about this post