“নারায়ণগঞ্জের শত শত মিল ফ্যাক্টরী কল কারখানা প্রতিনিয়তঃ অসাধু পন্থা অবলম্বন করে পরিবেশ দূষণের বিরামহীন প্রতিযোগিতা করলেও তাদের টিকিটিও স্পর্শ করতে পারে না কোন আইনশৃংখলা বাহিনী । উল্টো প্রায় সকল অসাধু কলকারখানার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা আদায় করে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ ধ্বংস করতেই কাজ করে যাচ্ছে পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তারা। একেক জন যেন আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ ।
আর এই অসাধু কর্মকর্তাদের কেউ কেউ দীর্ঘদিন পর নদী দূষণের অভিযোগে চার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে । এমন জোড়ালো অভিযোগ তুলেছে ইব্রাহীম নিট কম্পোজিটের কর্মচারীরা। নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু লোকজন গত কয়েকদিন যাবৎ নানাভাবে মাসোয়ারার জন্য চাপ দিয়ে আসছিলো। আর তাদের ওই মাসোয়ারার ফাঁদে পা না দেয়ায় এমন কান্ড ঘটিয়েছে বলে তাৎক্ষনিকভাবে এমন অভিযোগ তুরেছে ইব্রাহীম নিটের কর্মকর্তারা।”
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লার বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে এ অভিযান চালানো হয়।
এসময় শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত গোদনাইল এলাকার ইব্রাহীম নিট কম্পোজিট, হাজীগঞ্জ এলাকার ওয়েস্ট নিট ওয়্যার লিমিটেড, সাইলো রোড এলাকার রানস্ অ্যাপারেলস লিমিটেড ও জালকুঁড়ি এলাকার শাকিল নিটেক্স লিমিটেডের বিরুদ্ধে নদী দূষণের প্রমাণ পাওয়ায় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের জেলা উপ-পরিচালক মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এ প্রতিষ্ঠানগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্র না নিয়ে অবৈধভাবে কারখানা পরিচালনা করে আসছে। পাশাপাশি তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার বা ইটিপি প্ল্যান্ট ছাড়াই উৎপাদন চালিয়ে আসছে। যে কারণে প্রতিষ্ঠানগুলোর তরল বর্জ্য নদীতে সরাসরি মিশে নদী দূষণ হচ্ছে। এজন্য তাদের বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নদী দূষণ রোধে দূষণকারী সব শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
অভিযান পরিচলানা শেষে ইব্রাহীম নিট কম্পোজিটের ওই কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ নারায়ণগহ্জ নিউজ আপডেট কে মুঠোফোনে ১২ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডের আলোচনাকালে বলেন, “নারায়ণগঞ্জের প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে এই পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়মিত চাঁদা দিয়েই ব্যবসা করতে হয় । যে সকল প্রতিষ্ঠান নিয়মিত মাসোয়ারা দিতে চায় না এবং দরকষাকষি করে তাদের উপর এমন খড়গ চাপিয়ে দেয় পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাদু কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। নারায়ণগঞ্জে শত শত ইটভাটা থেকে কে বা কারা মাসোয়ারা আদায় করে ? শীতলক্ষা বুড়িগঙ্গা সহ সকল নদীর পাড়ে ছোট বড় শত শত কলকারখানা নিয়মিত পরিবেশ ধ্বংস করে যাচ্ছে তাদের কাছে থেকে কারা মাসোয়ারা আদায় করছে ? নিষিদ্ধ পলিথিনের কারখানা অসংখ্য, তাদের শেল্টার দেয় কারা ? প্রতিমাসে দুই একবার লোক দেখানোর জন্য কখনো জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবার কখনো নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণদের নানাভাবে মটিভেটেট করে নিয়ে এসে এবং মিডিয়া কভারেজ পেতে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে রেখে এমন অভিযান নামক নাটক মঞ্চায়ন করে এই আবদুল্লাহ আল মামুন চক্র। প্রকৃত পক্ষে যদি পরিবেশ অধিদপ্তর কাজ করতো তাহলে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ বিশ্বের সবচাইতে খারাপ পরিবেশ হতো না। নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ ঠিক করতে হলে আবদুল্লাহ আল মামুনদের মনের পরিবেশ পরিস্কার করতে হবে ।”
Discussion about this post