নারায়ণগঞ্জের সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান কে উদ্দেশ্য করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি বলেছেন, “এটা ২০১৮ সাল নয়। দিনের ভোট রাতে বাক্সে ভরে দিবেন সেটা চলবে না। আর খেলা যেভাবে খেলতে চান। ফুটবল খেলার মাঠে কিন্তু এগারোজন প্লেয়ার থাকে। যে টিমকে জেতাবে সেখানে আরও তিনজন থাকে। একজন রেফারি আর দুজন সহকারী রেফারি। এই চৌদ্দ জনে খেললে জিতে যাবেন। তবে আপনাকে বলতে চাই। আমার নেতা তারেক রহমান বলে দিয়েছেন নির্দলীয় তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া এ দেশে আর চৌদ্দ জনের খেলা হবে না। আপনি সাবধান হয়ে যান। চৌদ্দ জনকে নিয়ে খেলবেন। সে খেলা আর হবে না। সেখানে নির্বাচন কমিশনকে রেফারি বানাবেন আর দুপাশে ডিসি ও এসপিকে লাইনম্যান বানাবেন আর দিনের ভোট রাতে করবেন সে সমস্ত চিন্তা বাদ দিয়ে দেন।”
মঙ্গলবার (২৪ আগষ্ট) বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আজকাল একটা কমন ডায়ালগ হয়ে গেছে। খেলা হবে, খেলা হবে। এ ডায়লগ এখন পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীও বলে। তো খেলাটা কিভাবে হবে তিনি নিজেই বলে দিয়েছেন। তিনি নিজেই রেফারি। তিনি বলেছেন খেলায় তারাই জিতবেন। তিনিই রেফারি তিনিই খেলবেন তিনিই জয় পরাজয় নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে আমরা যখন নির্বাচন বর্জন করেছিলাম। তারা আগেই ১৫১ আসনে তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করে সরকার গঠন করে ফেলেছিল। এবার আবারও তারা সুন্দর খেলা শুরু করেছে। তার ১৫০ আসনে ইভিএম বসিয়েছেন। তার মানে আর একজন লাগবে সরকার গঠন করতে।
এসময় জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাসান রোজেল, মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এমন ঘটনায় খোদ জেলা বিএনপির অনেক নেতা মনিরুল ইসলাম রবির এমন বক্তব্যের বিরোধিতা করে বলেছেন, যিনি শামীম ওসমানের সাথে দাঁড়িয়ে সেলফি তুলেন তিনি শামীম ওসমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন, যা হাস্যকর । অনেক কথা ই বলা যায়, সময় মতো আরো অনেক কথা ই হবে । মুখোষ ও খোলা হবে ।
Discussion about this post