নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকের পিটুনিতে ৭ম শ্রেণির দুই ছাত্রী আহত হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা দুজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
শনিবার (২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থীরা হলো- উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা বাগান বাড়ি এলাকার মৃত মোমেন ভূঁইয়ার মেয়ে তানজিলা আক্তার (১৪) এবং একই পৌরসভার বরপা কর্নগোপ এলাকার রাসেল মিয়ার মেয়ে সামিয়া সিমি নিশী (১৩)। এ ঘটনায় আহত নিশীর মা বিউটি আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরপা হাজী নুর উদ্দিন আহম্মেদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ঈদের ছুটি ঘোষণা করেন শিক্ষক। এ আনন্দে ছাত্রীরা সবাই চুমকি মাখামাখি করে। এ সময় ওই দুই ছাত্রীকে শিক্ষক জসিম (৫৫) বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের রুমে ডেকে নিয়ে এলোপাতাড়ি বেত্রাঘাত করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করেন।
শিক্ষকের এমন পিটুনির আঘাত সহ্য করতে না পেরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তারা। পরে আহত দুই ছাত্রীকে ওই বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকরা স্থানীয় ইউএস বাংলা হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, শিক্ষার্থীকে মারপিটের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আহত ছাত্রী সামিয়া সিমি নিশীর মা বিউটি আক্তার কাঁদতে কাঁদতে সাংবাদিকদের বলেন, আমি একজন গার্মেন্টসকর্মী। আমার স্বামী নেই। বাবা মরা এতিম মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে শিক্ষিত করার জন্য গার্মেন্টসে কাজ করে অনেক কষ্ট করে উপার্জন করছি। আমার মেয়ের যদি কোনো অপরাধ থাকতো, সে যদি ক্লাসে লেখাপড়া না পারতো তাহলে মনকে বুঝ দিতে পারতাম। এখন আমি শিক্ষকের এ অন্যায় মেনে নিতে পারছি না। আমি ওই স্যারের উপযুক্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ্ নুসরাত জাহান বলেন, শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রীকে পিটিয়ে আহত করার খবর পেয়ে তদন্ত করার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Discussion about this post