স্টাফ রিপোর্টার :
নারায়ণগঞ্জ শহরের নৌ থানা সংলগ্ন সেন্ট্রাল ঘাটে প্রতি মূহুর্তেই শীতলক্ষা নদী পারাপার হচ্ছে হাজারো মানুষ। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে নৌ পুলিশসহ আইনশৃংখলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা টটস্থ থাকেন ঘাট এলাকার নদীর দুই পাড়েই ।
এমতাবস্থায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় ১০/১২ জন যাত্রী নিয়ে বন্দরে যাওয়ার জন্য একটি নৌকা রওয়ানা হলে নদীর মাঝপথে তেলবাহী জাহাজের সাথে নৌকার ধাক্কায় ডুবে যায় যাত্রবাহী নৌকাটি। এক মা পানিতে তলিয়ে যাওয়ার আগে তার শিশু সন্তানকে মাথার উপর তুলে চিৎকার করতে থাকে। এমন দৃশ্য দেখে দুই পাড়ের ট্রলার নৌকা যাত্রী ফেলে দ্রুত এসে ক্ষতিগ্রস্থ নৌকার সকল যাত্রীদের উদ্ধার করে।
নদীর দুই পাড়ে দাড়িয়ে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা তা তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলেও কেউ উদ্ধার অভিযানে এগিয়ে আসতে না দেখে প্রতিবাদের ঝড় উঠে যাত্রীদের মাঝে।
অসংখ্য যাত্রীর এমন প্রতিবাদের ঘটনা সম্পর্কে রাজিব নামের এক ব্যবসায়ী ক্ষোভ প্রকাশ করে পুরো ঘটনার বর্ণনা দেন।
তিনি নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের শীতলক্ষা নদীর দুই পাড়েই দেখা গেলেও কেউ তাদের উদ্ধারে এগিয়ে না আসলেও দূর্ঘটানার পর থেমে যাওয়া তেলবাহী জাহাজ ও. টি মদিনা ফাইভ আটক করতে মরিয়া হয়ে উঠে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেওয়াজ উদ্দিন ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা ।
জাহাজটি আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীর পূর্ব পাড়ে। আটক করা হয় তেলবাহী জাহাজের চালক শিমুলকে। এরপর পুলিশ সদস্যরা তৎপড় হয়ে উঠে জাহাজের মালিককে ফোন দিতে।
সকালে এমন ঘটনা ঘটলেও বিকেলের মধ্যেই তদ্বির করে জাহাজটি পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয় রাজধানীর প্রভাবশালী সংসদ সদস্য হাজী সেলিম।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নেওয়াজ উদ্দিন এনএনইউকে বলেন, তেলবাহী জাহাজটি পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের। সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের লোকজন এসে নৌকার ক্ষতি হওয়ায় ক্ষতিপূরণ দিয়ে তারা চলে গেছে। যেতেতু নিকোন নাই তাই এ বিষয়ে কোন আইনগত ব্যবস্তা আর নেয়া হয় নাই ।
Discussion about this post