নারায়নগঞ্জ বন্দরে ধর্ষিতার স্বজনদের গন পিটুনিতে ধর্ষক রকি (২০) নিহতের ঘটনায় বিষ্ময়করভাবে মামলার আসামি করা হয়েছে চেয়ারম্যান পূত্রের নির্যাতনের শিকার সেই ইউপি সদস্য সফুরউদ্দিন ।
৩০ লাখ চাঁদা না পেয়ে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে নির্মম নির্যাতন ও হত্যার উদ্দেশ্যে গুলিবর্ষণের ঘটনায় মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদ হোসেনের ছেলে শুভ ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করায় ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে হত্যা মামলায় তাকে ফাসাঁনো হয়েছে বলে সফুরদ্দিনের পরিবারের দাবী।
এদিকে নিহত ধর্ষক রকির মা আছমা বেগম জানান, ঘটনায় জড়িত ধর্ষিতা তরুনীর তিন ভাই শহিদুল ইসলাম (২২), সাইফুল ইসলাম (১৯), লাদেন (২৩), মামা জিয়া (৪০), মামাতো ভাই নয়ন (১৬) আসামি করে সিদ্দিরগঞ্জ থানায় মামলা করা হয়। সফুরদ্দিন মেম্বার কিভাবে আসামি করা হয়েছে তিনি তার কিছুই জানেন না বলে দাবী করেন।
মামলায় বলা হয়, ধর্ষক রকি (২০) পেশায় বাস চালক। উপজেলার মুছাপুর ইউপির চিড়ইপাড়া কলোনীর মৃত শাহাজউদ্দিন। রকি ও তার চাচাতো ভাই আলমগীর গত ১৯ মার্চ একই এলাকার নাসিরউদ্দিনের মেয়ে (১৫) কে পালাক্রমে ধর্ষণ করে । এ ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে তরুণীর স্বজনরা ধর্ষকদের খুঁজতে থাকে। এর ধারবাহিকতায় গত ২২ মার্চ সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল ট্রাক স্ট্যান্ডে নাস্তা করছিলো। এ সময় তারা রকিকে ধরে ধাতব বস্তু দিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ২৩ মার্চ সকালে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সরফুদ্দিনের মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর বলেন, আমার বাবাকে গত ১৪ মার্চ বেলা সাড়ে ১১ টায় টোটাল ফ্যাশন গার্মেন্টের ভেতর থেকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন ও গুলি করে মুছাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাকসুদের ছেলে মাহমুদুর হাসান শুভ এবং তার বাহিনী। ঘটনায় বন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে রকি হত্যা মামলায় আমার বাবাকে জড়িয়েছেন।
যেদিন রকিকে সিদ্ধিরগঞ্জে ধরতে যায় ওই দিন আমার বাবা নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নারায়ণগঞ্জ ম্যাজিষ্ট্রেট সামসুর রহমানের আদালতে জবানবন্দি দিতে কোর্টে ছিলেন। রকির পরিবারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে সুকৌশলে মাকসুদ চেয়ারম্যান আমার বাবাকে মামলায় জড়িয়েছে ।
মামলার তদন্তকারি অফিসার কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের সাব-ইন্সপেক্টর ফয়সাল জানান, সফুরউদ্দিন মেম্বারের দায়ের করা মামলা এবং গণধর্ষণ মামলারও আমি তদন্ত কর্মকর্তা। ধর্ষিতার স্বজনদের গণপিটুনিতে ধর্ষক রকি হত্যা মামলায় সফুরউদ্দিন মেম্বার আসামি করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমি অবগত নই। তবে ধর্ষক রকিকে মারধরের ঘটনার দিন ভিকটিম
সফুরউদ্দিনকে জবানবন্ধী প্রদানে আদালতে ছিলাম। ধর্ষক রকি হত্যামামলায় সফুরউদ্দিন মেম্বার আসামি রহস্যজনক।
Discussion about this post