বুধবার যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল আলমের ভ্রাম্যমাণ আদালতে কামরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এই দাবি করেন।
জামশেদুল জানান, বেলা দেড়টার দিকে তারা সদর উপজেলার ভাতুড়িয়া গ্রামের দাড়িপাড়ায় মাদকবিরোধী অভিযানে যান।
“ওই গ্রামের কামরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম দেখতে পাই। সেখানে মাদক পাওয়া যায়নি।”
এ সময় কামরুল, তার স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও আবুল বাসার নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয় জানিয়ে জামশেদুল বলেন, “সেখান থেকে একটি ওয়ান শুটার গান, একটি খেলনা পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, একটি গুলি, পাঁচটি কাটা গুলি, অস্ত্র তৈরি ডাইস ও ইস্পাত খণ্ড ও শুটারগানের একটি নল উদ্ধার করা হয়।”
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে কামরুল ভ্রাম্যমাণ আদালতে বলেন, “এ আগ্নেয়াস্ত্রগুলো আমি তৈরি করি পুলিশের জন্য। চার-পাঁচ মাস আগে তৈরি করা অস্ত্র ও গুলি আমার কাছ থেকে নেন এসআই জামাল হোসেনসহ অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তা।
“আমার তৈরি অস্ত্রগুলো কোনো ক্ষতি করে না। পুলিশ মামলার আলামত হিসেবে আমাকে দিয়ে এসব তৈরি করায়। প্রতিটি অস্ত্র আমি গুলিসহ পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি করি।”
এসআই জামাল হোসেন বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে রিজার্ভ অফিসারের দায়িত্বে রয়েছেন।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনসার উদ্দিনও কামরুলের দাবি নাকচ করে দিয়েছেন।
আনসার উদ্দিন বলেন, “কামরুল ধরা পড়ে আবোল-তাবোল বলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন বলে ধারণা করছি।”
ভ্রাম্যমাণ আদালতে শুনানি শেষে কামরুলসহ আটককৃতদের থানায় দেওয়া হয়েছে।
ম্যাজিস্ট্রেট জামশেদুল আলম বলেন, “আটককৃতর বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হবে। অভিযানে মাদকদ্রব্য পাওয়া যায়নি বলে এ বিষয়ে মামলা হবে না।”
যশোর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এএসআই বদরুল হাসান ভ্রাম্যমাণ আদালতের সঙ্গে ছিলেন ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের আর ওয়ান জামাল হোসেন মুঠোফোনে নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেটকে বলেন, আমি যতটুকু জানি যশোরে আটককৃত কামরুল র্যাবের সোর্স ছিলো। আর যে কথা উঠেছে তা উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি তো ৬ মাস আগেই চলে এসেছি যশোর থেকে ।
এমন অভিযোগের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ করলেও কেউ কোন মন্তব্য করতে রাজি হন নাই । তবে আর ওয়ানের বিষয়ে অনেক কর্মকর্তারাই বিব্রত বলে মন্তব্য করেছেন ।
আর ওয়ান জামালের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইও টু ইন্সপেক্টর সাজ্জাদ রুমন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নাই তবে এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে আমি আলোচনা করবো ।
Discussion about this post