নারায়ণগঞ্জ নিউজ আপডেট :
‘আমি সাংবাদিক ভাইদের এক চাই । যদি তাদের মধ্যে বিভেদ হয়ে যায় তাহলে সমাজে আর কিছু থাকবে না। সব জায়গায় ভাগ চলে না। যে কোন ব্যাপারে বা যেকোন দাবি আদায়ে আমি দেখেছি আপনারা সব সময় সত্যের পাশে থাকেন আমার কাছে সেটা ভালো লেগেছে ।’
নারায়ণগঞ্জকে চ্যালেঞ্জ মনে হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের ।
তিনি বলেছেন, ‘অনেকেই আমাকে ফোন দিয়ে বলেছেন নারায়ণগঞ্জে চ্যালেঞ্জ কেমন ? আমার কাছে চ্যালেঞ্জ মনে হয়নি। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে আমার দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। কোন দরকার হলে ফোন দিবেন। আমি অপরিচিত ফোন বেশি ধরি ।’
রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন এসপি জায়েদুল আলম।
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘তথ্য দিলে একটু জাস্টিফাই করে দিবেন। মিথ্যা তথ্য দিবেন না। মুন্সীগঞ্জে কিছু সাংবাদিক ছিল যারা বললে আমি জাস্টিফাই করতাম না কারণ তারা যা বলতো তা ১০০ পার্সেন্ট সত্য হতো। কিছু সাংবাদিক ছিল যারা সব সময় সত্য বলতো। সাড়ে তিন বছরের চাকরি জীবনে কখনো তাদের মিথ্যা বলতে দেখিনি। তারা আমার খুব আপন হয়ে গিয়েছিলেন। আপনারাও এরকম আপন হয়ে যাবেন ।’
নবাগত এসপি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের নেগেটিভ নিয়ে আপনারা যা বলেছেন আমার কাছে তা নেগেটিভ মনে হয় না। নারায়ণগঞ্জ অনেক বড়। এখানে অনেক ভালো কাজ হয় কিন্তু ভাল কাজ তো কখনো বলা হয় না। খারাপটাই বেশি আসে। যেখানে ভাল কাজ হয় সেখানে খারাপ কাজ বেশিই হয়। আমি বুকে হাত দিয়ে বলতে পারি আমি মিথ্যা মামলা মোটেও সহ্য করবো না। কাউকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসায় দেওয়ার জন্য পুলিশ না, কাউকে মামলা দেওয়ার জন্য পুলিশ না, কারো জমি দখল করার জন্য পুলিশ না। পুলিশ জনগণের সেবার জন্য। ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম আমি পুলিশের ডোপ টেস্ট চালু করেছি, ১০০ টাকায় পুলিশের চাকরি চালু করছিলাম।’
গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করে জায়েদুল আলম বলেন, ‘আমার ৫ ভাই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। আমার বড় ভাই শহীদ বীর বিক্রম । আমার খালাতো ভাই ও ফুফাতো ভাই তারাও বীর মুক্তিযোদ্ধা। কোন চেতনা, নীতি ও নৈতিকতা না থাকলে কোন কাজ করা সম্ভব না । আমি সমাজের সর্বস্তরের সাথে কথা বলবো । আমি প্রথমে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কথা বলেছি তারপর আমি ভেবেছি সবার আগে আপনাদের সাথে কথা বলা দরকার। কারণ আপনাদের কাছ থেকে আমি যে তথ্য পাবো তা আমি অন্য কারো কাছ থেকে পাবো না। আপনারাই বলতে পারবেন নারায়ণগঞ্জের প্রকৃত সমস্যা ও প্রকৃত সম্ভাবনাগুলো। আপনারাই পারবেন আমাকে সহায়তা করতে। আমি আপনাদের সহযোদ্ধা করতে যাই।’
জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমার ১৬ বছরের চাকরি জীবনে আমি শতভাগ নিরপেক্ষতার সাথে কাজ করেছি। কাজের বেলায় আমি কারো কথা শুনি না। আমি যেটা বুঝবো সেটাই করবো। আমি সব সময় বলি আমাকে রাখেন আর না রাখেন, চাকরি থেকে বিদায় করে দেন কিন্তু আমি কারো কথা শুনি না। কোন তদবির করতে পারবেন না। আমার কাছে তদবির করছে কিন্তু কাজ হইছে একজনও বলতে পারবে না।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ আলম মামুন, মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী, খোরশেদ আলমসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলন ।
Discussion about this post