এনএনইউ রিপোর্ট :
একাদশ জাতীয় নির্বাচনের পর ফের সরকার গঠনের সাথে সাথেই সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ডেমরার কাজলা এলাকা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলস্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগ ।
সোমবার ( ১৪ জানুয়ারী ) সকাল ১০টা থেকে এ অভিযান শুরু করে সংশ্লিষ্ট এই কর্তৃপক্ষ। গত ১১ জানুয়ারী গাজীপুরের চন্দ্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠা সকল অবৈধ স্থাপনা ৭ দিনের মধ্যে উচ্ছেদের নির্দেশ দেন সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষকে। এরই প্রেক্ষিতে এ উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আলীউল হোসেন।
উচ্ছেদে অভিযানের নেতৃত্বদেন সওজের এস্টেট ও আইন কর্মকর্তা উপ সচিব মোঃ মাহবুবুর রহমান ফারুকী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সওজ নারায়ণগঞ্জের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোঃ আব্দুস সাত্তার ।
জানা যায়, ডেমরা থানার কাজলা এলাকায় অবৈধ ভাবে গড়ে উঠা কাঁচাবাজার ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে শিমরাইলস্থ সড়ক ও জনপথ বিভাগ । প্রভাবশালী একটি চাঁদাবাজ চক্র জনসাধারণরে চলাচলের ফুটপাট ও মহাসড়কের কিছু অংশ দখল করে ভাড়া দিয়ে চাঁদা আদায় করতো বলে জানায় অভিযানে আসা সওজের একাধিক কর্মকর্তা।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্দেশে বৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে লাখ লাখ টাকা আগাম নিয়ে এবং প্রতি মাসে ভাড়ার বিত্তিতেই এমন অসংখ্য স্থাপনা গড়ে তুলেছে দখলদার চক্র। শিমরাইলস্থ সওজ এর হেডক্লার্ক এমন লেনদেন করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবৎ । প্রধান প্রধান সড়ক ছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সকল শাখা সড়কে এমন অবৈধ স্থাপনা থেকে প্রতি মাসেই রাখ লাখ টাকা বাড়া আদায় করছে এই বিভাগের হেডক্লার্ক বলে জানিয়েছে উচ্ছেদের শিকার ভুক্তভোগি অনেকেই ।
নাম প্রকাশ না করার অনুরোধে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ”অবৈধভাবে দখল করার সাহস কার আছে ? মূলতঃ সড়ক ও জনপথের লোকজনই টাকা নিয়ে আমাদের দখল করায় আবার মন্ত্রীর মতো কঠোর আদেশ আসলে আমাদের উপরই ষ্টিম রোলার চালায় ! এ তো দেখছি সর্ষের ভিতরেই ভুত । কিছুদিন পরে আবার এরাই গোপনে টাকা নিয়ে আমাদের দখল করতে বরবে ।”
Discussion about this post